পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ১৯৭৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১৯৭৮ সালে সংস্থাটি কার্যক্রম শুরু করে। বর্তমানে ২০১৩ সালের ৫৭ নং আইন “পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড আইন, ২০১৩” অনুসারে বিদ্যুৎ, জ্বালানি এবং খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হিসাবে এটি পরিচালিত হচ্ছে। সংস্থাটি ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মাধ্যমে সমগ্র পল্লী অঞ্চলে ঘরে ঘরে নিরবচ্ছিন্ন, সাশ্রয়ী ও নির্ভরযোগ্য বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে। বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ইতোমধ্যেই পল্লী বিদ্যুতায়ন কার্যক্রমে যথাযথ ব্যবস্থাপনা, গুণগত সেবা, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে দেশে-বিদেশে সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। বাংলাদেশের প্রায় ৮০% গ্রামাঞ্চলে এ প্রতিষ্ঠান সফলভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহের কাজে নিয়োজিত আছে। পল্লী বিদ্যুতের ২০০৮ সালের গ্রাহক সংখ্যা ৭৪ লক্ষ থেকে বর্তমানে ৩ কোটি ৩৬ লক্ষ (জুলাই,২২ অনুযায়ী) এবং বিদ্যুতায়নের হার ২৮% থেকে ১০০% এ উন্নীত হয়েছে। দেশ এখন শতভাগ বিদ্যুতায়িত। ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ভৌগোলিক এলাকায় টেকসই, গুণগতমান সম্পন্ন, সাশ্রয়ী ও নির্ভরযোগ্য বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাপবিবো নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশের প্রায় ৮০% গ্রামাঞ্চলে এ প্রতিষ্ঠান সফলভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহের কাজে নিয়োজিত আছে।
এসডিজি-২০৩০, রূপকল্প-২০৪১, পাওয়ার সিস্টেম মাস্টার প্লান, ডেল্টা প্লান-২১০০ বাস্তবায়নে বাপবিবো’র গৃহীত পরিকল্পনা:
q ইনডোর টাইপ (GIS) উপকেন্দ্র নির্মাণ।
q বিদ্যমান ৩৩/১১ কেভি পোল মাউন্টেড উপকেন্দ্রের নবায়ন ও আধুনিকায়ন।
q দেশের বড় বড় শহর ও ঘনবসতি এলাকায় ওভারহেড বৈদ্যুতিক লাইন মাটির নিচে স্থাপন।
q বৈদ্যুতিক বিতরণ ব্যবস্থার আধুনিকায়ন ও ক্ষমতাবর্ধন।
q বাপবিবোর্ডে SCADA System Establishment।
q Overloaded Distribution Transformer পরিবর্তন, Fault Locator স্থাপন।
q স্মার্ট প্রি-পেমেন্ট ই-মিটার স্থাপন, Advanced Metering Infrastructure (AMI) System Establishment।
q E-Nothi, ERP, GIS বাস্তবায়নের মাধ্যমে সমিতির প্রতিটি অফিসকে লেসপেপার অফিসে রূপান্তর করা
Ø গ্রাহক সেবার মান বৃদ্ধিতে আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি ও ডিজিটাল পদ্ধতির প্রবর্তন করা।
Ø প্রযুক্তিতে দক্ষ জনবল গড়ে তোলা।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস